১৩নং কবিতা
—বিভাবসু
‘শেলফের মধ্যে ন্যাপথলিন হোয়ে ছিলি তুই—
সেই অ্যাক দিলদরিয়া মেঘের মতো।
অ্যাকটা বিদেশি জাহাজ কোম্পানির বিজ্ঞাপনে যে মেয়েটির
ক্ষীণকটি, স্তন আর লাস্যময়তা আমাকে চোমকে দিয়েছিলো খুব—
তোর হিসেবে পারদ বাড়িয়েছিলো অনেকখানি—
ত্যামনি অ্যাক হলদে বিকেল এসেছিলো
দীর্ঘ অনাবৃষ্টির শেষে ডুবন্ত পশ্চিমে
আমি তখন শতদ্রু নদীর কথা ভাবছিলাম। ভাবছিলাম ভরা-যৌবন
মধুমতীর কথা, আর হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধোরে যাচ্ছিলো
হঠাৎ তুই হাত-ফসকে পোড়ে গিয়ে লাফাতে শুরু কোরলি।
তিড়িংবিড়িং সে লাফের মধ্যেও ছিলো
আপেক্ষিকতাবাদের বৃষ্টিস্নাত স্লাইস
তখন আমি দৃশ্যটিকে অ্যাকটা নীল গ্যাসবেলুনের মধ্যে পুরে দিতেই
চক্রাকারে আবর্তিত হোতে থাকলো অফুরন্ত ঋতুচক্র
ঋতুমতী আকাশ হোতে ইচ্ছে করে না তোর?’