১৪নং কবিতা
—বিভাবসু
‘আমার সেই হিস্টিরিয়াগ্রস্ত বন্ধুটির কথা
নিশ্চয় মনে আছে তোর
স্বপ্নের মধ্যেও যে ফিরি কোরতে বেরুতো সময়।
আমার সেই ঘোর আস্তিক বন্ধুটির কথাও ভুলিসনি নিশ্চয়—
যে কোনো দিন নিজের মেরুদণ্ডকে অনুভব করেনি।
অ্যাকটা ঘোড়া ছিলো, সে ছুটলে টগবগ নয়—
অবিরাম ঝর্নার ধ্বনি হোতো
‘শিলকোটো’ বোলে যে ইষ্টিকুটুমসদৃশ হিন্দুস্থানি মানুষটি যায়
তিনমাসে চারমাসে অ্যাকবার
‘প্রতিটি পাথরের মধ্যে আগুনের গুদাম আছে’ বোলে
আমাকে ভর্ৎসনা করেছিলো অ্যাকদিন
তুই সেই পাথরকে হার মানিয়েছিস
তোর আগুন অ্যাতোখানি স্পর্শবহ যে,
দুঃখও অমায়িক হাসতে শিখেছে আজকাল
অপলক আলো এসে ছিটকে পোড়ছে রাধাচুড়োর ডালে
সে আমার বন্ধুদের অসুখ সারিয়ে দিক
আর বরফ গলুক তোর পাষাণ-হৃদয়ে
ওই হলুদ আলোর শুদ্ধতা এটুকু কৃপা কোরুক আমায়’