১১নং কবিতা
—বিভাবসু
‘এসে অব্দি শুনতে পাচ্ছি তোকে—
ঠিক রসুইখানা থেকে ভেসে আসা সুগন্ধের মতো
জিভ ভিজে উঠছে ঈষৎ—
ক্রনিক্যাল তামাশার মতো পশ্চিমের রাস্তাটার উপর
হাওয়াই চপ্পলগুলো ওড়াউড়ি করে—
কিছুক্ষণ ভুগি অন্ধকারে, হিপোক্রেসিতে
তার পর আলবত তোল্লাই খেয়ে ডুকরে উঠি
ঘুমহীন দিগন্তের মতো
তারও পর নেমে আসে সবুজ দয়ালু অ্যাক আগুন—
আর তার ভেতরে যতো নগ্নিকারা
সূর্যস্নানে মেতে ওঠে তির্যক সমুদ্রবেলায়
সেখানেও দিব্যি তোর দেহের ঘ্রাণ,
স্তনের বিন্যাস অথবা খণ্ডখণ্ড ত্রিভুজ
কতো যোজন দূরত্ব ছিলো তোর আর আমার
সন্দিগ্ধতার ভেতরে
কতো কাঁকড়াবিছে এসে পিত্যেশ কোরে গ্যাছে
ম্রিয়মাণ ল্যাম্পপোস্টের কাছে
সমুদ্রের গর্জনে কতো যে মিশেছে খেয়ালি পৌরুষবাহার
এ সব ভাবনা যতো দূর ভেসে যায়
ততো দূরেদূরে মাছধরা ডিঙিনৌকাগুলি
উৎসর্গ কোরি তোর নাভিমূলে—আডুবন্ত—’