ডিজিটাল স্লেট


ডিজিটাল স্লেট

বিভাবসু

জীবনের প্রথম স্লেট পাই যখন বানান-ফলাতে পড়ি। আসলে স্লেটপাথর কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো এই স্লেট ছিলো পলকা। তাতে লিখতাম স্লেট পেন্সিল বা চক দিয়ে। সেই প্রথম স্লেটটি স্কুলে নিয়ে প্রথম দিনেই আমি ভেঙ্গে ফেলেছিলাম স্কুলঘরে পা পিছলে পড়ে। তখন আমাদের দুস্থ অবস্থা। খুবই কষ্ট করে নিশ্চয়ই ওটি কেনা হয়েছিলো। তাই বাড়ি ফিরলে বাবার হাতে বেদম প্যাদানি খেতে হয়েছিলো। হয়তো ওটাই ছিলো আমার জীবনের প্রথম রামধোলাই তাই স্মৃতিটা বেশ স্পষ্ট মনে আছে।

এরপর আমাদের সারা জীবনে স্লেটের নানা বিবর্তন হলো। পাথর থেকে কাঠের, কাঠের পর টিনের। সবশেষে এসেছিলো কাগজের স্লেট। সবগুলোই আমি ব্যবহার করেছি। এরমধ্যেই দেখেছি ট্রেনের হকারদের প্লাস্টিক ও জলের খেলনা স্লেট বিক্র করত। সেটাও কিনেছিলাম। কাঠি দিয়ে লিখলে লেখা ফুটে উঠতো। ওটার ভেতরের কাঠি এদিক ওদিক করলেই লেখা মুছে যেতো।
এখন সময় ঢুকে পড়েছে ডিজিটের মধ্যে। আমাদের সবকিছু আজ ডিজিটতাড়িত। সংখ্যাময়। এবার পেলাম ডিজিটাল স্লেট!
গতকাল দোকানে গিয়েছিলাম রঙ কিনতে। বারাসাতের যমুনায়। যমুনার মালিক শুভ দেখালো চাইনিজ এই ভেলকি (চিন যে আর কী কী ভেলকি আমাদের দেখাবে!)। দাম ১৫০টাকা! যদিও শেষমেশ ও আমাকে ওটা ফ্রিতেই দিলো এই শর্তে যে, এর একটি রিভিউ লিখবো। সেই অর্থে এটা আমার প্রথম পেইড পোস্ট। আমার কাছে ব্যাপারটাতো দারুণ লেগেছে। বিশেষ করে হালকা স্কেচ করার জন্য। ১৫০ টাকায় ট্যাব ট্যাব একটা ফিল আসছে।
নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন