কলঙ্করেখা
—বিভাবসু
সময়ের সুস্বাদু মাংসে সান্ধ্যভোজ সেরে আমরা বসেছিলাম ক্ষয়া চাঁদের নীচে
অদ্ভুত কলঙ্করেখার পাশে। নটা ছাব্বিশ থেকে বারোটা তিন
কত ক্রান্তিকাল বুকে পুরে বসেছিলো ছাতিমের ডালে—
বেদির নীচে চুঁয়ে পড়া জলের দেহে ভেসে উঠেছিলো তার জন্মহীন গুনগুন
সমুদ্রের মধ্যে আনত ঢেউ খুলে বসেছিলো নিষিদ্ধ গমগম
আর ঘোড়ার সবুজ হ্রেষার মধ্যে হেসে উঠেছিলো আইবুড়ি জোছনা
পার্বণের পিঠের মতো সেই অবলুপ্ত স্মৃতিধ্বস আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছিলো
সেই আমাদের প্রথম নীলস্পর্শের বিনিময়, অত ঘনিষ্টভাবে আবিষ্কার করা দেহ;
সেই প্রথম পাট ভেঙে গেঁথে যাওয়া গ্রন্থিহীন আবহমানে
সেদিন পারিপার্শ্বিক ছিলো প্রেতপুরীর মতো শুনশান
আর কলঙ্করেখা ফেঁসে গিয়েছিলো মৃত্যুর মূর্ছনায়—