ক্ষমতার মধু ও একজন সদ্য প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ক্ষমতার মধু ও একজন সদ্যপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

বিভাবসু 

আমরা, ভারতীয়রা, বদমায়েশ ইংরেজদের বদমায়েশিটুকু মনেপ্রাণে আত্মস্থ করেছি, ব্রত করেছি। আমাদের আদর্শ রবার্ট ক্লাইভ। সে ১৭৬৭ সালে দেশে ফিরে যায়। কিন্তু ঘুষ-ষড়যন্ত্রের চূড়ায় উঠে ভারতের জন্য রেখে যায় দুর্বৃত্তায়নের ভয়ঙ্কর এক পরম্পরা। পরবর্তীতে এটাই ভারতীয় উপমহাদেশের নিয়তি হয়ে ওঠে। 

কিন্তু এই বেজম্মাটা তার লাগামহীন দুর্নীতির জন্য ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টের তদন্তের শিকার হয় এবং লজ্জায় আত্মহত্যা করে। বদমায়েশদের সাজা দেবার ইংরেজদের এই পরম্পরা আমরা কোনোদিন শিখবো না।

আমরা কোনোদিন ভাবতে পারবো ৪৪ দিনের দিন একজন প্রধানমন্ত্রী (লিজ ট্রাস) পদত্যাগ করছেন? তাও কোনো দুর্নীতির জন্য নয়, ভুল সিদ্ধান্তগ্রহনের জন্য বা ভ্রান্ত, জনমোহিনী, পাইয়ে দেবার রাজনীতির জন্য। অথচ স্বাধীন ভারতের প্রধান চালচিত্রই হচ্ছে ভোটের আগে নানা অনুদানমূলক প্রকল্প চালু করে পাবলিককে খুশি করা। আসলে যেমন প্রজা তার তেমনইতো রাজা হবে!

সেভাবেই এখানে চোরেদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। জ্ঞানীদের চোর প্রতিপন্ন করা হয়। এখানে ডাকাতেরা দেশনায়ক সেজে বার্ধক্য পেরিয়ে তবে মারা যায়। স্বেচ্ছায় পদত্যাগতো দূরের কথা, উল্টে ক্ষমতায় চাম-এঁটুলির মতো লেপ্টে থাকে। আমরা ভালো ইংরেজের ভালো কিছু নিতে পারি না, চাইও না। ক্ষমতার মায়া এখানে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। এই  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তওতো  বদমায়েশ ইংরেজদে কাছ থেকেই শিখেছিলাম!



নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন